তাদেরই নি’র্মমতার শি’কার হলো এই ৩০ জন। তবে, এর মধ্যে বাংলাদেশী ২৫ জন ছিলো জি’ম্মি ও বাকি ৫ জন
অ’পহ’রণ চ’ক্রের স’দস্য। এর মধ্যে বাগেরহাটের শামীম রেজা নামে এক বাংলাদেশী হচ্ছে অ’পহ’রণ চ’ক্রের নেতা।
বাকি চার জনের মধ্যে তিন জন অ’পহ’রণের স’হযোগী লিবিয়ার ভাড়াটে পু’লিশ ও একজন আফ্রিকান গার্ড।
ত্রিপোলিতে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ৭০ জনের বাংলাদেশী একটি দল লিবিয়ার বেনগাজী থেকে ত্রিপোলির উদ্দেশ্যে রওনা হয় গত ১৯ মে।
এই ৭০ জন এয়ারপোর্ট চুক্তিতে ভা’রত, দুবাই, মিসর ঘুরে বেনগাজীতে করো’না সং’কটের আগে জড়ো হয়।
তারপর লকডাউন শি’থিল হতে শুরু করলে তারা ত্রিপোলির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কাজের জন্যই তাদের এখানে আসা।
তবে, কেউ কেউ জানান, তাদের লক্ষ্য ইতালি পাড়ি দেয়া।বেনগাজী থেকে রওনা হবার পর
এই ৭০ জন বেনুয়ালী চে’কপোস্ট পু’লিশের হা’তে আ’ট’ক হয়। তাদেরকে থা’না আনা হয়।
এরপর মা’নব পা’চার ও অ’পহ’রণ চ’ক্রের নেতা বাগেরহাটের শামীম রেজা ও কুমিল্লার শরীফ পু’লিশের কাছ থেকে
তাদেরকে জনপ্রতি দুই হাজার দিনার বা বাংলাদেশী ৩০ হাজার টাকা কিনে নেয়।।
তারপর তারা জি’ম্মি করে হ’তভাগ্য এই ৭০ জ’নকে। মু’ক্তিপণ হিসেবে তাদের কাছে জনপ্রতি ১১ হাজার ডলার দা’বি করা হয়।
তাদের সবাইকে ত্রিপোলি থেকে তিনশো কিলোমিটার দূরে মিজদা ম’রুভূমির একটি বাড়িতে আ’ট’কেব রাখা হয়।
আ’ট’কের পর থেকে চলে অ’মানুষিক নি’র্যাতন। এই নি’র্যাতনের জন্য ভাড়া করা হয় চার আফ্রিকানকে।
পরে বা’ধ্য হয়ে কেউ কেউ টাকা দিতে শুরু করে। তখন তাদেরকে নি’র্যাতন থেকে রে’হাই মি’ললেও মু’ক্তি দেয়া হ’য়নি।
বলা হয়, সবার মু’ক্তিপণ আ’দায় হলে ছাড়া হবে।
এদিকে, যারা টাকা দিতে পা’রেনি তাদের ও’পর নি’র্যাতনের মাত্রা আরো বা’ড়ানো হয়।
এই অবস্থায় অ’তিষ্ঠ হয়ে আ’ট’ক জি’ম্মিরা বি’দ্রোহ করার সিদ্ধান্ত নেয়। বৃহস্পতিবার ( ২৮ মে, ২০২০) সকালে
তারা চ’ড়াও হয় শামীম রেজার উ’পর। শামীম তখন ঘুমিয়ে ছিলো। আ’ট’ককৃতরা তার কাছে
থাকা পি’স্তল ছি’নিয়ে নিয়ে তাকে গু’লি করে। গু’লিতে শামীম নি’হত হয়।
শামীম নি’হত হবার পর ব’ন্দী বাংলাদেশীরা পা’লিয়ে যাবার চে’ষ্টা করে। তখন আফ্রিকান গার্ডরা মি’লিশিয়া নামক ভাড়াটে পু’লিশকে খবর দেয়।
তখন তারা এসে গো’লাগু’লি শুরু করে। ব’ন্দীরাও প্র’তিহত করার চে’ষ্টা করে।
এতে তিন লিবিয়ান মি’লিশিয়ান পু’লিশ ও এক আফ্রিকান গার্ড মা’রা যায়। অ’পরদিকে,
এই ভাড়াটে পু’লিশের হাতে ২৫ জন ব’ন্দী নি’হত হয়। তারা আশেপাশে আত্মগো’পনে থাকা ব’ন্দীদের খুঁ’জে খুঁ’জে হ’ত্যা করে।
গো’লাগু’লির ঘ’টনার পর লিবিয়ার স’রকারি পু’লিশকে ঘটনাস্থলে আসে। তারা আ’হত
গু’লিবি’দ্ধ ১১ জনকে কাছের জিলিটন শহর হাসপাতাল নিয়ে আসে। এরপর প্র’তিশোধ নিতে
মি’লিশিয়া পু’লিশের একটি দল তিন দফা হাসপাতা’লে হা’মলা করে। কিন্তু, স’রকারি পু’লিশ তাদেরকে প্র’তিহত করে।
সর্বশেষ অবস্থা হচ্ছে, হা’সপাতালটি সর’কারি পু’লিশ সদ’স্যরা ঘিরে রেখেছে। ত্রিপোলি থেকে
বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মক’র্তারা হাসপাতা’লে পৌঁছেছেন। তারা আ’হতদের সাথে কথা বলছেন।
0 Please Share a Your Opinion.: