এস আলম গ্রুপ!! দেশের শীর্ষ ধনীদের মধ্যে অন্যতম!!!
দখলে রয়েছে ৮টি ব্যাংক, ৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দুটি বীমা কোম্পানী সহ মোট ৩৪টি কোম্পানী। শুধু বাংলাদেশে নয়, সিঙ্গাপুর ও কানাডার ধনীদের তালিকায়ও স্থান পেয়েছে গ্রুপটি। গ্রুপের ৫ ভাই সহ ঐ পরিবারের মোট ৬জন করোনায় আক্রান্ত। এর মধ্যে দুই ভাইয়ের অবস্থা সংকটাপন্ন।
কিন্তু ভর্তির পর হাসপাতালে তারা পেয়েছে একটা আইসিইউ বেড। অথচ দুজনই মরণাপন্ন। অন্তিম সময়ে ছোট ভাইয়ের মুখ থেকে খুলে নিয়ে বড় ভাইকে দেয়া হল ভেন্টিলেশন সাপোর্ট। কিন্তু ততক্ষণে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি হারিয়ে মারা গেলেন বড় ভাই মোরশেদুল আলম (৬৫)।
তড়িঘড়ি করে যন্ত্রটি আবার দেয়া হলো ছোট ভাইয়ের মুখে। মৃত্যুর সঙ্গে এখনও লড়ছেন তিনি। অথচ তাদের মতো দুই তিনজন উদ্যোক্তা চাইলেই দেশের পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পাল্টে দিতে পারতেন। চাইলে হাজার হাজার আইসিইউ বেড দান করতে পারতেন বিভিন্ন হাসপাতালে।
কিন্তু তারা কি জানতেন যে, এমন একদিন আসবে... যখন কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢাললেও সিঙ্গাপুর-থাইল্যান্ডের দরজা খুলবে না! অথচ কয়েক মাস আগেও তারা হাঁচি-কাশি/জ্বর-ঠান্ডা হলেই এয়ার এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সিঙ্গাপুর চলে যেতেন মেডিক্যাল চেকাপ করতে...!! আজ একটি আইসিইউ বেড ও অক্সিজেন সাপোর্টের অভাবে মারা গেলেন...!!
“করোনা ভাইরাস” শিক্ষা দিয়ে গেলো পুরো পৃথিবীকে...!!
আল্লাহ ওনার জান্নাত নসীব করুক এবং যারা জীবিত তাদের সুস্থ করে দিক। আর শুভবুদ্ধি দিক ঐ সব লোকদের, যাদের সামর্থ্য থাকার পরেও দেশের কল্যাণে কাজ করে না...!!
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 Please Share a Your Opinion.: