প্রথম স্ত্রী ও সন্তানরা প্রতিনিয়ত মারধর করতো ও মেরে ফেলার হুমকি দিতো, ফলে দ্বিতীয় স্ত্রী ও কন্যাদের নিয়ে নারায়নসার এলাকায় বসবাস করতেন আলি আকবর বাচ্চু । গত কিছুদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক কলহ বেড়ে যায়। ঈদের আগের দিন নিজ বাড়িতে আসেন তিনি। সম্পত্তি বিরোধের সুত্র ধরে প্রথম স্ত্রী রওশনআরা বেগম ও ছেলে খোকন, রোকন, ছোটন ঈদের দিন সকালে পিতার ওপর চড়াও হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে পিতাকে নির্মমভাবে মারধর করে হাত পা ভেঙে দেয় এবং বটি দা দিয়ে কুপিয়ে পায়ের রগ কেটে দেয়।
খবর পেয়ে নাজিরা বাজার ফাঁড়ি পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের তিন ছেলে এবং প্রথম স্ত্রী পলাতক রয়েছে। একটি বিশেষ মহলের সহায়তায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সমঝোতার জন্য বাদীকে হুমকি ধমকি, দৌড়ঝাপ ও হত্যাকান্ডের ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে ধামাচাপা দিতে আসামিরা তৎপরতা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
কোতোয়ালি থানাধীন নাজিরা বাজার ফাঁড়ি পুলিশের আইসি ইন্সপেক্টর মাহমুদ হাসান রুবেল জানান, পোস্টমর্টেম শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুনেছি নিহতের সাথে পরিবারিক বিরোধ রয়েছে সন্তানদের। তদন্ত চলছে পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট এলে মৃত্যুর বিস্তারিত জানা যাবে।
সুত্র:জাগো কুমিল্লা।
0 Please Share a Your Opinion.: