এমন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ডিএমপির মিডিয়া এ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার প্রকৌশলী মোঃ ওয়ালিদ হোসেন জনকণ্ঠকে জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করায় ৮০ মামলা ও জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিনব্যাপী ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এসব মামলা ও জরিমানা করা হয়। মামলায় ২৩ দোকানি, ৫ মোটরসাইকেল ও ৫২ জন ব্যক্তিকে মোট ৩২ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, সচেতনতা ছাড়া করোনা সংক্রমণের হার কমনো কোনভাবেই সম্ভব না। সবার আগে মানুষকে সচেতন হতে হবে। পুলিশের তরফ থেকে যে জরিমানা বা মামলা করা হচ্ছে তা মূলত প্রতীকী। যাতে মানুষ অন্তত মামলা বা জরিমানা ভয়ে হলেও বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হন। যত ব্যক্তি আর যত দোকানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তার চেয়ে অন্তত এক শ’ গুণ মানুষকে বুঝিয়ে শুনিয়ে ঘরে পাঠানো হচ্ছে।
তবে এটিও সত্য, দিনকে দিন করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের হার বাড়ছেই। এ জন্য সামনের দিনগুলোতে পুলিশকে হয়তো আরও কঠোর হওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প থাকবে না। ইতোমধ্যেই সরকারী নির্দেশনা মেনে সবকিছু চালাতে বার বার বলা হচ্ছে। পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় মাইকিং করা হচ্ছে। মানুষকে নানাভাবে সচেতন করা হচ্ছে। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সামনের দিনগুলোতে শাস্তির মাত্রা আরও বাড়তে পারে। পুলিশ মামলা করতেও বাধ্য হচ্ছে। যেটি আসলে কাম্য ছিল না। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নগরবাসীকে বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, দফায় দফায় কৌশল পরিবর্তন করেও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকার লাল, হলুদ ও সবুজ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন করছে। লাল এলাকা চিহ্নিত করে ভাইরাসের সংক্রমণ কমানোর চেষ্টা চলছে। বিকেল চারটার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করার নির্দেশ রয়েছে। অথচ মানুষ মানছে না। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাস্তায় মানুষের নিয়ম না মানার প্রতিযোগিতা। এ জন্য ভবিষ্যতে দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ ভাইরাসটি অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 Please Share a Your Opinion.: