😭
গতকাল দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলো কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাশী ইউনিয়নের তীরচর গ্রামের কারী সিরাজুল ইসলামের বড় ছেলে মোহাম্মদ ফরিদের প্রথম সংসারের ছোট ছেলে আরাফাত।
সেই ছোট্ট ছেলেটির মৃত লাশ পাওয়া যায় তার সৎ মা সুমির ঘরে রাত ৮টার দিকে, এখন পরিচয় করিয়ে দেই সুমিকে সুমি হলো এই গ্রামেরই মোহাম্মদ শহীদের দাজ্জাল মেয়ে আর চোট্টা ফরিদের ২য় বউ। সুমি স্বীকার করে নিয়েছে সে খুন করেছে সেই ছোট্ট ছেলে আরাফাতকে আর তার সাথে আছে তার পরিবার আর ছেলেটির বাবা।
মানুষ কিভাবে এতো নির্মম হতে পারে, আমি বুঝলাম না কিভাবে এতো ছোট্ট ছেলেটির প্রান নিতে পারল??
একটু সম্পদের জন্য এতো কিছু আরে মারা গেলে আপনার সম্পদ যাবে না আপনার সাথে কবরে, শুধু সাড়ে ৩ হাত মাটি ছাড়া।
ছেলেটিকে মেরে গরুর গোয়াল ঘরে খরকুটা দিয়ে ডেকে রেখেছিল তার সৎ মা।
সৎ মা আর ছেলের বাবাকে গতকাল রাতে পুলিশ নিয়ে গেছে, জানি না কি সাজা হয় তাদের? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমার মনে হয় শাস্তি অত বেশী হবে না যেখানে ধর্ষণের মতো মামলায় আসামির সাজা হয় না সেখানে কি সাজা হবে তা বোঝার কিছু বাকি নেই।
কি হতে পারে!আপন মায়ের অবস্থা
মনে করি সাজা হলো অনেক কঠিন, কিন্তু সাজা দিয়েই বা কি হবে? কেই কি ফিরিয়ে দিবে তাকে তার সন্তান আরাফাতকে? কেই কি বুঝবে তার অবস্থা?
তার চিৎকার? তার আর্তনাদ?
না কেই বুঝবে না, লোকজনের তো সাধারণত বেশি হলে এক মাস মনে থাকবে, তার পরে আর মনে থাকবে না। কিন্তু তার মায়ের এই কষ্ট টুকু থাকবে তার মৃত্যর আগ পর্যন্ত।
এমনিতেই তার বাঁচার একমাত্র কারণ ছিল তার একমাত্র ছেলে কিন্তু আজ সেও নেই, জানি না তার অবস্থা কি?
আল্লাহ আপনি তাকে ধৈর্য দরার তৌফিক দান করুন। আল্লাহ তুমি এই ছেলেটাকে জান্নাত নসিব করো।
আমিন।
0 Please Share a Your Opinion.: