প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে প্রতিষেধক আবিষ্কারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে গোটা বিশ্ব। বিশেষ করে মহামারী এ ভাইরাস প্রতিরোধ করতে হলে,
ভ্যাকসিন আবিষ্কার অপরিসীম। এটা ছাড়া কোনো ভাবেই এ ভাইরাস দমন করা অসম্ভব। আর এমনটাই জানিয়েছেন জাতিসংঘ।
উল্লেখ্য যে, প্রায় ১০০টি প্রতিষেধকের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে করোনা মোকাবিলায়। এরই মধ্যে ভাল
সংবাদ দিলেন রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা। জানালেন তারা, আবিষ্কার হয়ে গিয়েছে করোনার বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী ওষুধ!
করোনা আক্রান্তদের উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগে এই ওষুধে আশাতীত সাফল্য মিলেছে। রুশ সংবাদ সংস্থা তাস এবং ব্রিটিশ সংস্থা
রয়টার্স এ তথ্য জানা গেছে যে, ১১ মে থেকেই করোনার চিকিৎসায় এই ওষুধের প্রয়োগ শুরু করছে রাশিয়া।
অরবিট টাইমস অ্যাভিফ্যাভির (Avifavir) নামে এই ওষুধের পেটেন্ট পেয়েছে রুশ ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা। রুশ বিজ্ঞানীদের দাবি,
করোনা রোগীদের উপর এই ’অ্যাভিফ্যাভির’ প্রয়োগের চার দিন পর ৬৫ শতাংশ রোগীর শরীরেই ভাইরাস সম্পূর্ণ নির্মূল হয়ে গিয়েছে।
অর্থাৎ, মাত্র চার দিনের মধ্যেই ’অ্যাভিফ্যাভির’ ৬৫ শতাংশ করোনা রোগীকে সম্পূর্ণ সারিয়ে তুলেছে বলেই দাবি করেছেন রুশ বিজ্ঞানীরা।
জানা গিয়েছে, দেশের করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে ’অ্যাভিফ্যাভির’-এর প্রয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছে রুশ স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
এই ওষুধের প্রথম ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্র্যায়ালে অপ্রত্যাশিত সাফল্য মিলেছে বলেই দাবি বিজ্ঞানীদের।
জি ২৪ ঘণ্টা জাপানে সংক্রামক জ্বরের প্রতিষেধক ফ্যাভিপিরাভির-এর রাসায়নিক সমন্বয়ের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন ঘটিয়ে ’অ্যাভিফ্যাভির’ (Avifavir) তৈরি করেছেন রুশ বিজ্ঞানীরা।
রুশ স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, বর্তমানে ৩৩০ জন করোনা রোগীর ওপর চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। আগামী ১১ জুন থেকেই এই ওষুধ দেশের করোনা চিকিৎসায় প্রয়োগ করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই দেশের হাসপাতাল গুলিতে মোট ৬০ হাজার ডোজ ’অ্যাভিফ্যাভির’ পৌঁছে দেবে রাশিয়ার RDIF এবং
ChemRar গ্রুপ।
তবে বিশেষজ্ঞরা এবার আশাবাদী, করোনা প্রতিরোধে এই ওষুধ সাফল্য বয়ে আনতে পারে।
0 Please Share a Your Opinion.: